ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় কাটছে না আতঙ্ক। বন্ধ করে রাখা হয়েছে নির্বাচনী এলাকায় গড়ে উঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এখানো স্বাভাবিক হচ্ছে না মহেশপুর এলাকার সুন্দরপুর বেলমার্কেট।

স্থানায়ী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, গত বুধবার (২৭ জুলাই) নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৮০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হওয়ায় দোকান বন্ধ রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন । এতে চরম বিপাকে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার রাণীশংকৈল বাচোর ইউনিয়নের মহেশপুর এলাকার বেল মার্কেট প্রায় অধিকাংশ দোকানপাঠ বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। দু-তিনটি পান দোকান খোলা থাকলেও কোন গাড়ির শব্দ কানে আসতেই দোকান খোলা রেখেই পালিয়ে যাচ্ছে দোকানীরা।


এসময় দরিরুল ইসলাম নামে এক পান দোকানীসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে স্থীরভাবে দোকান খুলতে পারিনা। পান বিক্রি করেই আমার সংসার চলে। মামলা হওয়ার পর থেকে বাজারে মানুষ আসেনা। যেখানে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা বিক্রি হতো এখন ২০০ টাকাও হয় না। কেন্দ্রটির প্রায় ১৮শ ভোটার। সবাইতো অন্যায় করেনি। আমি ভোট দিয়ে চলে আসছি পরে কি হয়ছে সেটাও জানি না। পরে শুনেছি তার পরেও আমি আতঙ্কে আছি। এলাকার কেউ বাড়িতে থাকতে পারে না। ভোট দেওয়ায় কি আমাদের অপরাধ হয়ে গেলো। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের চিহ্নিত করে যেন সাজা দেওয়া প্রশাসনের কাছে এটাই দাবি। ঘটনা ঘটলো ৩ নং ওয়ার্ডে। আমরা সেখানকার ভোটার না হয়েও দোকানপাট বন্ধ রেখে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। রাতে বাড়িতে থাকতে পারিনা এই বুঝি পুলিশ আসলো। কত যে কষ্টে আছি তা বলে বুঝাতে পারবো না।
উল্লেখ্য, সাত মাস বয়সী নিহত সুরাইয়াকে নিয়ে মা মিনারা বেগম রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র এলাকায় অবস্থান করছিলেন। ফলাফলকে কেন্দ্র করে পরাজিত ইউপি সদস্য সমর্থকদের সাথে আইনসৃংখলাবাহিনীর সংর্ঘষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পুলিশ গুলি ছুড়লে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় শিশু সুরাইয়া।
তবে আতঙ্কিত না হয়ে প্রত্যেককেই নিজ বাড়িতেই অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষিদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন।